Home Bangladesh স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে গোলাপগঞ্জ ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল

স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে গোলাপগঞ্জ ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল

by Londonview24
0 comment

শহিদুল ইসলাম, সিলেট।

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এলাকার শিক্ষার্থীরা দূরে বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশুনা করছে। যার ফলে গ্রামের অনেক শিশু শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকছে। এমনকি দূরবর্তী এলাকায় স্কুল হওয়ায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষার কোন সুযোগ নেই এই গ্রামে ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুলে অনেক কষ্টে যাতায়াত করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সিমা নেই তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা দূর কারণে সময় মতো স্কুলে যেতে পারেনা। ইসলামটুল গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জাহান জানায়, গ্রামে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় তারা কষ্ট করে পাশের গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে লেখা পড়া করছে। গ্রামে বিদ্যালয় না থাকায় অনেক সহপাঠী দূরের স্কুলে যায় না। অনেকে লেখাপড়াও ছেড়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের গ্রামে একটি বিদ্যালয় চাই। লেখাপড়া শিখে আমরা বড় হতে চাই। ইসলামটুল গ্রামের প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে দূরবর্তী বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করছে। দূরবর্তী এলাকায় স্কুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে। এতে অভিভাবকরাও সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। অনেক সময় ছাত্র/ছাত্রীরা দুঃঘটনার শিকার হয়। ইতি মধ্যে শিকপুর ব্রিজের কাজ চালু হয়েছে। এই ব্রিজ চালু হলে দুঃঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বিষয়ে এলাকার চেয়ারম্যান সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু সাহেবের সাথে কথা হলে তিনি শিকার করেন এই গ্রামে কোন স্কুল নাই। অথচ পাশ্ববর্তী গ্রামে ১০০ গজের ভিতর দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৫০ গজের ভিতর একটি মাদ্রাসা আছে। পাশ্ববর্তী আমনিয়া ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭ জন এর মধ্যে ইসলামটুল গ্রামের ৯৪ জন শিক্ষার্থী। জানা গেছে, আমুড়া ইউনিয়নের ইসলামটুল গ্রামটিতে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। অথচ গ্রামে নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বিদ্যালয়ের জন্য ভূমির ব্যবস্তা করেছে। এখন কতৃপক্ষের উচিত ১নং সরকারী বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করে শিক্ষার্থীর সুব্যস্থা করে দেয়া। নয়ত ১,৩৩,০০০/-টাকা ব্যয় করে নির্মান করা নতুন ভবন কোন কাজে আসবেনা। পাশের গ্রাম আমনিয়া যেখানে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেহেতু ১নং আমনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৭% শিক্ষার্থী ইসলামটুল গ্রামের বতর্মানে এই বিদ্যালয় সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ হবে। তাই এলাকাবাসীর দাবী এই বিদ্যালয়টি ইসলামটুল গ্রামে নির্মান করে ইসলামটুল গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের কষ্ট লাগব করা হোক।

You may also like

Leave a Comment