বাংলাদেশে চলমান রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস অব দ্যা পিপল এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা গুলোর অপরাধ কখনো বিচারাধীন হয় না। প্রত্যেকটি ঘটনার জন্য যারা দায়ী হুকুমদাতাসহ সবাইকে একদিন তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে শুরু হয়েছিল ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র দিল্লী বাস্তবায়ন করেছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। সুতরাং শেখ হাসিনার পতনই শুধু নয়, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
১১ই ডিসেম্বর লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সংগঠনটির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান সাফি। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মাহী আরমান রফিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, আমার দেশ পত্রিকা, ইউকের নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম শিপার, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, ইউকের সভাপতি মুসলিম খান।
আলোকচিত্র অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহী আরমান রফিক।
মাহী আরমান রফিক বলেন, সরকার হবে জনসাধারণ কর্তৃক নির্বাচিত, জনসাধারণের জন্য নিয়োজিত, সেই সরকার বাংলাদেশ নেই। ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যা সম্পূর্ণ অমানবিক এবং মানবাধিকার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারের নির্যাতন থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না বলে তিনি বলেন, এই বছর এখন পর্যন্ত একজনকে হত্যা এবং ৫৫জন সাংবাদিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমেরিকাকে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্য জাতির জন্য হাস্যকর উল্লেখ করে তিনি তার পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি তার বক্তব্যে ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সকল নেতৃবৃন্দের সন্ধান দাবি করেন।
অলিউল্লাহ নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সময় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ছিলো সাম্য, সামাজিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিন্ত আজকে বাংলাদেশে এই তিনটির একটিও নেই। বরং এই তিনটির উল্টা দিকে চলছে দেশ। আজকে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলটাকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন এবং পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নির্যাতনকে গাজার সাথে তুলনা করে এর পরিত্রাণের জন্য সবাইকে আন্দোলনে নামার আহবান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মাসুদ,আব্দুল্লাহ আল আমিন, রোহান তারিক, কাওছার আহমেদ, আবু কায়েস, আব্দুল্লাহ নাইম, তাহরিল আহমেদ, মনসুরুল হাসান জাকারিয়া, মোঃ তাজুল ইসলাম, রফিক আহমেদ, মিনহাজ উদ্দিন শিবলু, সালমান মনসুর, আব্দুল বাছির, সালমান মনসুর, রাদেল আহমেদ, আফজাল হোসাইন সাকিব, জাহেদ হুসেন, এনামুল হক সাব্বির, এম এম ইয়াজদিন, রায়হান উদ্দিন, কাওসার আহমেদ রিফাত, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, জাবের চৌধুরী, মাহফুজুর রাহমান খান, শেখ আশরাদুজ্জামান, মুক্তাদির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, আব্দুল হালিম,জাহেদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম জুবেল, আব্দুল হাদি, তারেক আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, সুহেল আহমদ, দিলোয়ার করিম সাজু, তওকির হাসান তামিম,শাহ আলম, আশরাফুল আলম, শাহ মাহমুদুল হাবিব ইমন, আব্দুল কবির, আবুল কালাম আজাদ লস্কর, ঈসা মোহাম্মদ,জবা আক্তার শুভা, সৈয়দা রিপা বেগম, জুয়েল আহমদ, রিজভী উদ্দিন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, সারজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান মামুনসহ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি