কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর সৃষ্ট সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রোববার সকালেও ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করেছেন আমদানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এরই মধ্যে কার্গো সেকশনে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন করেছে সরকার।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীদের পাঠানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এ সময় তিনি জানান, যেখানে আগুন লাগে তার পুরোটাই আমদানি কার্গো। রপ্তানি কার্গো পুরোপুরি নিরাপদ আছে।
এদিকে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এ কমিটিকে দ্রুততম সময়ে অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব মো. রইচ উদ্দিন খান ও মো. তারেক হাসান, কাস্টম হাউস ঢাকার যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া (সদস্য সচিব)।
এর আগে, কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গঠিত এ কমিটি সভাপতি চিফ (ফ্লাইট সেফটি) এবং সদস্য সচিব উপ-ব্যবস্থাপক (ইন্স্যুরেন্স)।
এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি), চিফ ইঞ্জিনিয়ার (কোয়ালিটি এসুরেন্স), উপ-মহাব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি), উপ-মহাব্যবস্থাপক (কার্গো-রপ্তানি)।
এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।