দূর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জননেতা মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সহ বিভিন্ন উৎসবের নামে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু দারিদ্র বিমোচনে সুনির্দিষ্ঠ কোন কর্মসূচী না থাকায় গভীর উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কালো টাকা সুযোগের কারণে দূর্নীতি দমন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। এই সুযোগটি রক্তাক্ত জুলাই-আগস্টের মূল লক্ষ্যের পরিপন্থী। টিআইবি বলেছে, এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, বাজেটে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগে। তবে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে এবারের বাজেটে তা গুরুত্ব পায়নি। বাজেটে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু তারুণ্যের উৎসবের নামে সে সমস্ত বরাদ্ধ রাখা হয়েছে তার কোন যুক্তিকতা নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক সরকারের আমলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন অপরিমেয় দূর্নীতি, অনিয়ম ও অপচয় হতো অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও অনেক খানিক কমিয়ে আনতে পারবে দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে। মোট কথা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সহ অপচয় ও দূর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ চায় দেশবাসী। বিজ্ঞপ্তি
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার কারণে দূর্নীতি বিরোধী জনগণ খুবই মর্মাহত
previous post