Home Bangladesh শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেভাবে এআই ব্যবহার করছেন

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেভাবে এআই ব্যবহার করছেন

by Londonview24
0 comment

গত ৫ অক্টোবর ছিল শিক্ষক দিবস। মজা করেই সেদিন ‘প্রিয় শিক্ষক’ হিসেবে কেউ কেউ শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন চ্যাটজিপিটিকে। বোঝা গেল, একাডেমিক পড়ালেখায়ও এখন হরদম এআই প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

গবেষণাও কিন্তু তা-ই বলে। গ্লোবাল এআই স্টুডেন্ট সার্ভের বরাত দিয়ে ক্যাম্পাসটেকনোলজি ডটকম বলছে, বর্তমানে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই একাডেমিক পড়াশোনায় এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। বিশ্বের ১৬টি দেশের প্রায় ৩ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীর ওপর করা এ জরিপে উঠে এসেছে—প্রচলিত এআই প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় চ্যাটজিপিটি। গত আগস্টে প্রকাশিত এই গবেষণা থেকে জানা যায়, ব্যবহারের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে গ্রামারলি ও মাইক্রোসফট কোপাইলট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফায়জুল হাসান জানালেন, একাডেমিক পড়ালেখায় এআইয়ের সাহায্য নেন তিনিও। তাঁর বক্তব্য, ‘এআই ব্যবহার করে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায়, জটিল বিষয় সহজ করে নেওয়া যায়। পড়াশোনার পরিকল্পনা সাজানো সহজ হয়।’ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বইগুলো পড়ানো হয়, সেগুলোর প্রায় সবই বিদেশি লেখকদের লেখা। পটভূমিও থাকে বিদেশি। এআই আমাকে পাঠ্যক্রমের বিষয়গুলো বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বুঝতে সাহায্য করে। অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেন্টেশনগুলোতে কী কী তথ্য রাখা যায়, সে ব্যাপারে ধারণা পেতে আমি এই প্রযুক্তির সাহায্য নিই। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও এআই আমার কাছে বেস্ট হোম টিউটর।’

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি, জেমিনি বা মাইক্রোসফট কোপাইলটের মতো প্ল্যাটফর্মের কাছে ‘মামাবাড়ির আবদার’ করা যায় নিশ্চিন্তে। অনুবাদ থেকে শুরু করে বড় কোনো নিবন্ধের সারাংশটুকু তুলে আনা, যেকোনো কাজ সহজেই করে দিতে পারে এআই প্রযুক্তি। জুতসই ‘প্রম্পট’ বা নির্দেশনা দিতে জানলেই হলো। ফায়জুল বলছিলেন, ‘পরীক্ষা প্রস্তুতির সময়ও এআই বেশ কার্যকর। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়, নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করা যায়।’

You may also like

Leave a Comment