লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে “র্যালি ফর বাংলাদেশ” অনুষ্টিত। কয়েক হাজার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী এই র্যালি তে অংশগ্রহন করেন বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশগ্রহন করেছেন।
সকাল থেকে ট্রাফালগার স্কয়ারে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে আসা নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় নেতাকর্মীরা দলে দলে নানা রকম শ্লোগান দিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। এসময় তারা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ও শ্লোগান দেয়। পরে তারা সেখান থেকে বিশাল র্যালির মাধ্যমে পার্লামেন্ট হাউজের সামনে মূল প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে। এসময় আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা জামাল আহমদ খান সহ আরো অনেকেই।

এসময় বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের তীব্র সমালোচনে করেন। তারা বলেন ড ইউনুসের সরকার একটি অগণতান্ত্রিক সরকার এবং অনির্বাচিত সরকার। বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর মব সৃষ্টির মাধ্যমে হামলা করছে, গ্রেফতার করছে, খুন করছে। বর্তমান সময়ে দেশে আইনের কুনোরূপ শাসন নাই। চাঁদাবাজিতে লিপ্ত থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার কুনো ব্যবস্থা নিচ্ছেই না ফলে দিন দিন তা চরমভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধারাও রেহাই পাচ্ছেন না এই সরকারের কাছে বলেও অভিযোগ তুলেন বক্তারা।
তাছাড়া বিগত জুলাই আন্দোলনে যে সকল ছাত্র ছাত্রীদের ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে, পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে তার সুষ্ট বিচার ও দাবি করেন তারা। আগামী ডিসেম্বর এর ভিতর শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন বলেও জানান দেন আওয়ামীলীগের নেতারা।

উক্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক হরমুজ আলী, শাহ আজিজুর রহমান, মারুফ চৌধুরী, নইমুদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. স. ম. মিসবাহ, রবির পাল, সাবেক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাবেক এমপি রঞ্জিত সরকার, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার শাহ, সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মিঠু, খসরুজ্জামান খসরু, সারব আলী, কাওছার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, জাকির হুসেন, মোঃ জাকারিয়া, মারজান আহমদ, রবিউল হাসনাত শাওন, সৈয়দ কারিম রায়হান, রাফি বিন কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, কাওসার আহমদ, আল জাবের আহমদ রুম্মান, মোঃ আলী আহমদ, আব্দুল হামিদ, মোঃ আলমগীর হুসাইন, মুসলেহুর রহমান বাবলা, রেজা মাহবুব লস্কর, মিজানুর রহমান, মোঃ কবির হুসেন, এহসানুল হক, সুকুমার দাস, মোঃ সুফিয়ান আফরোজ, মোহাম্মদ নাজিম, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, শুহাদা বেগম, জুবায়ের আহমদ সানি, মেহেদি হাসান মিশাল, জোবায়ের আহমদ, ফজলে রাব্বি জামিল, আনজুমান আরা অন্জু , শাহিনা আক্তার , হোসনেয়ারা মতিন, ছালমা বেগম, মিফতা নূর, সামিরুন চৌধুরী, আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল বাছির, তামিম আহমদ, আফজল হোমেন , মাহবুব আহমদ, শফিক আহমদ, জামিল আহমেদ সহ আরো অনেকেই।