প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ কর্তৃক প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন এর ব্যানারে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ সিলেট জেলা শাখা নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম এর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান জাকারিয়া, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালা উদ্দিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম মুহিব, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রহিম, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দিন আহমদ, ছাত্র প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার আবু জর গৌছ, ফয়জুর রহমান সিফাত, হাফিজুর রহমান, আবু জোবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ আল তাওসিফ প্রমুখ।
স্মরকলিপিতে ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভাগ করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ম গ্রেডভুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমান পদ শুধুমাত্র বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর আওতাধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে উত্তীর্ণ ৪ বছর মেয়াদি (সার্ভেয়িংসহ সকল টেকনোলজি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণের জন্য সংরক্ষণ অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রকৌশল সংস্থা, বিভাগ ও বিদ্যুৎ কোম্পানির জনবল কাঠামোতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের হার ১:৫ করা। যা বর্তমানে অশুভ চক্রের কারণে ৫:১ এ রূপান্তরিত করার পাঁয়তারা চলছে। সকল প্রকৌশল সংস্থায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী হতে সহকারী প্রকৌশলী পদে বিদ্যমান ৩৩% পদোন্নতির বিধান ৫০% এ উন্নীতকরণ এবং সকল প্রকৌশল সংস্থায় প্রশাসনিক পদে প্রশাসন ক্যাডার হতে নিয়োগ প্রদান করা। মেধার অপচয় রোধে প্রকৌশলীদের কারিগরি ক্যাডার ব্যতিত অন্য ক্যাডারে নিয়োগ বন্ধসহ প্রকৌশল পেশা পরিবর্তন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। ৫:১ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের গুণগত মান রক্ষার্থে কোর্স ক্যারিকুলাম ইংরেজিতে প্রণয়নসহ আধুনিকায়ন করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার ১:১২ নিশ্চিত করে শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাব/ওয়ার্কসপ আধুনিকায়ন এবং কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সংযুক্ত এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইন্সট্রাক্টরকে সহকারী প্রধান শিক্ষক (কারিগরি) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ও সংযুক্ত এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) কোর্সে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টের কাচাঁমাল, শিক্ষার্থী ভাতা ও প্রশিক্ষক ভাতা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বরাদ্দ দিতে হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। “কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ” কর্তৃক উত্থাপিত ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নসহ সকল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের ভর্তির সুযোগ প্রদান করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।