সিলেটের গোলাপগঞ্জে পলাতক আসামীদের গ্রেফতার ও ভূয়া চুরির নাটক সাজিয়ে ফেসবুকে প্রচারের অভিযোগে দুই লাইভারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা এখলাছপুর গ্রামের মোঃ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপির অনুলিপি ডিআইজি ও আইজিপি বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে তিনি বলেন, বাঘা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি আলা উদ্দিন ও তার ছেলে সন্ত্রাসী তাজ উদ্দিনের সাথে জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনজুর আহমদের রাজনৈতিক বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে কেন্দ্র করে সম্প্রতি জমি বিরোধ চলছে। গত ১৩/০৭/২০২৫ ইং আলা উদ্দিন ও তাজ উদ্দিন শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করলে মনজুর সহ তাদের ৩ ভাই গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে তাদের তিন ভাবীও মারাত্নক আহত হন। সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে ও মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ৪৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মালামাল ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে ৩৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতিও হয়। পুলিশ মামলা নিলেও প্রধান আসামীসহ ১৫ জন জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জয়নালসহ পরিবারের লোকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সহযোগিতা করছে। মামলার প্রধান আসামী তাজ উদ্দিনের মিথ্যা মামলায় জয়নাল আবেদীনের ভাই ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনজুর আহমদসহ ২ ভাই কারাগারে। এমন অবস্থায় আসামীরা কান্ত না হয়ে গত ১৪/০৮/২০২৫ ইং মুদি দোকান চুরির নাটক সাজিয়ে ‘আধুনিক টিভি’ ও ‘বাংলা টাইম এন্ড টিউন’ নামক দুটি ফেসবুক পেজে লাইভ করে তাদের থানায় চুরির অভিযোগ দিয়েছে। এ নিয়ে জয়নাল আবেদীন গোলাপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। যার নং-৭৭৭।
উল্লেখ্য, আসামীদের পুলিশ খোঁজে না পেলেও মামলার প্রধান আসামী তাজ উদ্দিনসহ ৪ পলাতক আসামী সোমবার সিলেটের একটি পেশাদার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে জয়নাল আবেদীনসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তত্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলন করেছে।
স্মারক লিপিতে অভিযুক্তরা হলেন, মামলার প্রধান আসামী তাজ উদ্দিন, তার পিতা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলা উদ্দিন, ছালিম আহমদ, নিজাম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন, আলা উদ্দিন, রমিজ উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, মারজান আহমদ, তমিজ উদ্দিন, এমরান আহমদ, আব্দুল খালিক, মামুনুর রশিহ মামুন উরফে মামুন চৌধুরী, ও রাজন মিয়া।
জয়নাল আবেদীন বলেন, পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করে তাদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছে। তাদের মিথ্যা মামলায় আমার আহত ভাইয়েরা জেলে। আমি সকলের সহযোগিতা চেয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছি। সোমবার মামলার প্রধান আসামীরা একই ক্লাবে জামিন না নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় হতাশা প্রকাশ করছি। পুলিশ যে আসামীদের খোঁজে পায় না। গ্রেফতার করতে পারে না। তারা কি করে সংবাদিকদের পেশাগত সংগঠনে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। অনুলিপি ডিআইজি মহোদয় ও আইজিপি মহোদয় প্রেরণ করেছি।