বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা, হামলা, গুম ও মিথ্যা মামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ফাইট ফর জাস্টিস ইন বাংলাদেশ’।
সংগঠনের উদ্যোগে গত সোমবার (১১ আগস্ট) লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আজ এক অন্ধকার সময়ে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, এবং সেই হত্যাকাণ্ডগুলো এতটাই নৃশংস যে শুনলেই গা শিউরে ওঠে। পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া, গুলি, লাঠি— এসব কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত বর্বরতা। এর মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে, সত্যের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা, হামলা, গুম ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। তাদের পরিবারগুলো আজ দুঃস্বপ্নে দিন কাটাচ্ছে। শুধু সাংবাদিক নয়— কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষও নিরাপদ নয়। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বদলে মানুষ পাচ্ছে ভয় ও আতঙ্ক।
সোহাগ সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, দোষীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় এই হত্যার সংস্কৃতি চলতেই থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি নাগরিকের জীবন সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো স্বাধীন মত প্রকাশ। সাংবাদিক, লেখক, রাজনৈতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ— সবাই যেন নির্ভয়ে কথা বলতে পারে, এটা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংগঠন ও বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের নীরবতা আমাদের দেশের মানুষের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সমান। আজ যদি আওয়াজ না তোলেন, কাল হয়তো অনেক কণ্ঠ চিরতরে থেমে যাবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল জাবের আহমদ রুম্মান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, জাকির হোসেন, জুবায়ের আহমদ সানি, সুকুমার দাস, সৈয়দ কারিম রায়হান, মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।