মোদি বললেন: ‘চড়া মূল্য দিতে হবে, তবু আমি প্রস্তুত’ — ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের একদিন পরই পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থে কোনো রকম আপস নয়। প্রয়োজনে চড়া মূল্য দিতে হলেও ভারত প্রস্তুত।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘এম এস স্বামীনাথন শতবর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন’-এ ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন,
“কৃষকের স্বার্থই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। কৃষক, পশুপালক ও জেলেদের স্বার্থ রক্ষায় ভারত কখনো আপস করবে না। আমি জানি এর জন্য আমাকে চড়া মূল্য দিতে হবে, তবু আমি প্রস্তুত— ভারত প্রস্তুত।”
এর আগে, গত বুধবার (৬ আগস্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অভিযোগে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ালো ৫০ শতাংশে।
নতুন শুল্ক কার্যকর হবে আদেশ জারির ২১ দিন পর থেকে। ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া থেকে তেল কেনা ভারতের জন্য অগ্রহণযোগ্য। তাঁর ভাষ্য—
“ইউক্রেনে রাশিয়ান অস্ত্রে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তা ভারত আমলে নিচ্ছে না।”
এর আগে ২০ জুলাই ভারতের পণ্যের ওপর প্রথম দফায় ২৫% শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার দ্বিতীয় দফায় আরও ২৫% আরোপ করে মোট শুল্কহার দ্বিগুণ করা হলো।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে “অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে উল্লেখ করেছে। তাদের ভাষ্য, ভারতের জ্বালানি আমদানি ১৪০ কোটি মানুষের নিরাপত্তা ও বাজার বাস্তবতার ওপর নির্ভর করে। একতরফাভাবে অতিরিক্ত শুল্ক বসানোয় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটি।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
“জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে ভারত।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানি বড় ধাক্কা খেতে পারে। যা দেশের অর্থনীতি ও কৃষি খাতের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।