Home Bangladesh স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ওবায়দুল কাদের ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন।

স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ওবায়দুল কাদের ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন।

by Londonview24
0 comment

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ সরকার। সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের ছেড়ে পরিবার নিয়ে গোপনে ভারতে চলে যান। সরকার পতনের পর দেখা যায়, যারা আগে জোরালো বক্তব্য ও কর্মসূচি দিয়ে মাঠে সরব ছিলেন, তারা এই দুঃসময়ে আর সামনে আসছেন না। এমনই একজন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

গণআন্দোলনের পর দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন নীরব ও অন্তরালে। অথচ আগে প্রায় প্রতিদিনই তিনি বিরোধী দলকে নিয়ে আগ্রাসী ভাষায় বক্তব্য দিতেন। সম্প্রতি তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারের কাছে একটি সাক্ষাৎকারে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেলে তিনি সংসদ এলাকার নিজের বাড়ি না গিয়ে আশপাশের একটি পরিচিত বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু মিছিলকারীরা সেই বাসাতেও হামলা করে বসে, যদিও তারা জানত না যে তিনি সেখানে আছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে একটি বাথরুমে আশ্রয় নেন এবং টানা ৫ ঘণ্টা সেখানে লুকিয়ে থাকেন।

তিনি জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা শেষ পর্যন্ত সেই বাথরুমেও হানা দেয়। তার স্ত্রী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং বারবার বলেন, তিনি অসুস্থ, যাতে কেউ ভেতরে না আসে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। শেষমেশ তার অনুমতিতে দরজা খুলে দেওয়া হয়। কয়েকজন যুবক ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমে আক্রমণাত্মক আচরণ করে, কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের ব্যবহার নরম হয়ে যায়। তারা ছবি তোলে, কেউ কেউ সেলফিও নেয়। এরপর দুই যুবক তাকে ও তার স্ত্রীকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং রাস্তার লোকজনকে বলে, তারা অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছে।

এইভাবে তিনি ওই বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে কোনোরকমে রক্ষা পান। পরে তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই দেশ ছাড়েননি, বরং প্রায় তিন মাস দেশে অবস্থান করেন এবং রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজছিলেন। শ্রমিক বিক্ষোভ ও নানা অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে ফেরার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।

এই পুরো ঘটনা ওবায়দুল কাদেরের জন্য এক গভীর মানসিক চাপ এবং বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে, যা তিনি নিজেই “অপ্রত্যাশিত রক্ষা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

You may also like

Leave a Comment