কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত না করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে শিগগিরই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানায়।
ওয়াশিংটন আগেই জানায়, পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে তারা বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি দুই দেশকে সংকট নিরসনে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের বলছি উত্তেজনা যেন না বাড়ে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রুবিও মঙ্গলবার বা বুধবার ভারতের ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি অন্য আন্তর্জাতিক নেতাদেরও একই ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে তারা পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে দায়ী করেনি।
২২ এপ্রিলের হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। ভারত হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
এশিয়ায় চীনের প্রভাব বাড়তে থাকায় ভারত যুক্তরাষ্ট্রের আরও ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠেছে। তবে পাকিস্তানও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদার।
কাশ্মীর ইস্যুতে অতীতেও একাধিকবার যুদ্ধ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। অঞ্চলটির একাংশ এখন ভারত ও অন্য অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পেহেলগামের হামলার জেরে ভারত আন্তর্জাতিক সিন্ধু জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করেছে এবং আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের তরফ থেকে হামলা হতে পারে।