✍️ মোঃ সাহিদুজ্জামান সুজন, সিলেট।
গতকাল রবিবার সকাল ১২ ঘটিকার সময় ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্বিন ব্রিজ সম্মূখে জালালাবাদ পার্কের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ, তারা বলেন হকারকে নিয়ে যাতে কোন দালালি করা না হয় এবং তাদের ৯ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত যাতে তাদেরকে ফুটপাতে জায়গা দেওয়া হয়। তারা যখন স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর রওনা হয় তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম তাদেরকে বাধা দেয় এবং বলে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না করে এবং সবাইকে এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়, তারপর সবাইকে সরিয়ে ৪-৫ জনের একটি টিমকে বলা হয় তারা যাতে স্মকলিপিটি জেলা প্রশাসক বরাবর দেয় এবং বলা হয় সবাই এখান থেকে সরে যাওয়ার পরে এই স্মারকলিপি নিয়ে আপনারা জেলা প্রশাসক বরাবর যেতে পারবেন।
৯ দফাগুলো হচ্ছে-
১। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসন করতে হবে।
২। অস্থায়ী হকার মার্কেটের যাতায়াতের প্রস্তাবিত সকল রাস্তা তৈরি করে দিতে হবে, মাঠের অসম্পূর্ণ করতে হবে।
৩। আমাদের স্থায়ী পুনর্বাসনকৃত মাঠে দোকান তৈরি ও নিজস্ব পৃথক পৃথক মিটারর সহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
৪। প্রতিদিন পিক আমাদের পরে অর্থাৎ বিকেল পাঁচটা থেকে ফুটপাতে সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
৫। প্রতি সপ্তাহে ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার পূর্ণ দিন ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করলে আমরা সবাই সিসিক থেকে ট্রেড লাইসেন্স করব, এতে করে সিসিকের রাজস্ব ও বাড়বে। আর এই ট্রেড লাইসেন্সের ফিস বাৎসরিক, মাসিক, সাপ্তাহিক অথবা দৈনিক হিসেবেও আদায় করা হতে পারে।
৬। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা হকারদের উপর নির্যাতন হয় হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৭। বিগত সময় অস্থায়ী হকার মার্কেটে দোকান বরাদ্দে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তাই সকল দোকান লটারি মাধ্যমে পুনরায় বন্টন করতে হবে।
৮। মাঠের ভেতরে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৯। এসব দাবি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে ফুটপাতে বসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।