Home Uncategorized নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরামের ১৩ দফা দাবি পেশ

নিউইয়র্ক কনস্যুলেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট প্রবাসী বাংলাদেশী ফোরামের ১৩ দফা দাবি পেশ

by Londonview24
0 comment

হাকিকুল ইসলাম খোকন:

বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের কাছে প্রবাসীদের পক্ষে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরাম। এসব দাবি সম্বলিত আবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,বুধবার নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
সংগঠনের অন্যতম সদস্য শামসুঊদদীন আহমেদ শামীম বাপসনিউজকে জানান,বুধবার বিকেলে প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ফখরুল আলমের নের্তৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল ড.নাজমুল হুদার কাছে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত আবেদন হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের সদস্যঅধ্যপক ড. মহসীন আর পাটোয়ারি, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার শাহজাহান শেখ, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আহসান হাবীব, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট কাজী আজহারুল হক মিলন, সংগঠক ওরাদনীতিক শামসুঊদদীন আহমেদ শামীম এবং এমএইচ মতিন প্রমুখ।
এছাড়াও এসময় কনস্যুলেট জেনারেলের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এন নাজমুল হাসান, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সেরি ইসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছেন। প্রবাসীদের ১৩ দফা দাবি সম্বলিত আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বরাবর শিগগিরই প্রেরণ করা হবে।
ফখরুল আলম অন্তর্বর্তী সরকার বরাবর তাদের ১৩ দফা দাবি সম্বলিত আবেদন গ্রহণ করার জন্য কনসাল জেনারেল ড.নাজমুল হুদাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এ সরকার প্রবাসীদের দাবিসমূহ পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকারের কাছে প্রবাসীদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে : ১. জাতীয় সংসদে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রবাসীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। ২. নিউইয়র্ক-ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু। ৩. নিউইয়র্কসহ সারা বিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) চালু করা, যা ইতিমধ্যে ব্রিটেনে চালু হয়েছে। ৪. নিউইয়র্কসহ সারা বিশ্বের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট প্রদান করার ব্যবস্থা করা। ৫. দেশের ভূমিদস্যুদের হাত থেকে প্রবাসীদের রক্ষা, বিশেষ করে চুক্তি মোতাবেক ক্রয় করা জমি, প্লট, অ্যাপার্টমেন্ট সহজে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ৬. ঢাকাস্থ হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা। ৭. দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা। ৮. বাংলাদেশের অফিস-আদালতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য বন্ধ করা ও প্রবাসীদের জন্য ঢাকায় চালু করা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা। ৯. প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অর্থে গড়ে ওঠা অর্থনীতির লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার বন্ধ করাসহ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। ১০. বাংলাদেশ সফরকালে প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। ১১. বাংলাদেশে প্রবাসীদের ঘর-বাড়ি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার ব্যবস্থা করা। ১২. কনস্যুলেট সেবা বৃদ্ধি করে প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়ন, জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, দেশের সম্পত্তি হস্তান্তরে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদানের মতো কাজগুলো সহজ করা এবং ১৩. যেকোনো প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ বিনা খরচে দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।

You may also like

Leave a Comment