নিজস্ব প্রতিবেধকঃ বড় হার নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করবে টাইগাররা। ভালো হলো না প্রস্তুতি পর্বের শেষটা। ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ দল। গড়তে পারেনি কোনো প্রতিরোধ। হতাশ করেন দূর-দূরান্ত থেকে মাঠে আগত সমর্থকদের।
শনিবার নাসাও কাউন্টি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬১ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও রিশাভ পান্ত প্রথম ছয় ওভারেই তুলেন পঞ্চাশোর্ধ রান। ষষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই নেন ২২ রান।পরের ওভারে এসে অবশ্য রোহিতকে শর্মাকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। ভাঙেন রিশাভ পান্তের সাথে গড়ে তোলা ২৯ বলে ৪৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। রোহিত আউট হন ২৩ রান করে। ভারত অবশ্য প্রথম উইকেট হারায় দ্বিতীয় ওভারেই। স্যাঞ্জু স্যামসনকে মাত্র ১ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম।রোহিত ফিরলেও থামানো যায়নি রানের গতি। পান্ত দেখা দেন বিস্ফোরক রূপে। দারুণ ব্যাট করছেন এই ভারতীয় উইকেট কিপার। মাত্র ৩২ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর অবশ্য আর মাঠে থাকেননি, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন তিনি।পাঁচে নামা শিভাম দুবে ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৬ বলে ১৪ রানে শেখ মেহেদীর শিকার হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। তবে রানের গতি ধরে রাখেন সূর্য কুমার যাদব, তানভিরের শিকার হবার আগে তোলেন ১৮ বলে ৩১ রান। তবে ততক্ষণে জ্বলে উঠেন হার্দিক পান্ডিয়া।শেষ দিকে ঝড় তোলেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার। খেলেন ২৩ বলে ৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান ১৮২ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে একটা করে উইকেট নেন শেখ মেহেদী, শরিফুল ইসলাম, তানভির ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৯ উইকেটে ১২২ রানে।
রানের লক্ষ্য টপকাতে হলে ভালো একটা শুরুর বিকল্প ছিল না। টপ অর্ডার থেকে তাই দারুণ কিছুর আশায় ছিলো সবাই। তবে সেই আশা মুহূর্তেই গুড়িয়ে দেন শান্ত-সৌম্যরা। যেন বড় লজ্জাই দিলেন বাংলাদেশী সমর্থকদের! ৮.২ ওভারে ৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
খারাপ সময় যেন শেষই হচ্ছে না লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তের। ৬ বল খেলেও এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। লিটন দাস অবশ্য ৮ বল থেকে করেন ৬ রান। আর্শদ্বীপ সিং ফেরান তাকে।তাদের রেখে অবশ্য সবার আগে ফেরেন সৌম্য সরকার। আর্শদ্বীপ সিংয়ের প্রথম শিকার তিনি, দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।টপ অর্ডারদের এমন ভেঙে পড়ার দিনে মন্দের ভালো ছিলেন ওপেনার তানজিদ তামিম। অবশ্য শুরুটা ভালোই হয়েছিল তার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফেরেন ১৮ বলে ১৭ করে। পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয়ও ধরতে পারেননি হাল, ১৩ রানেই শেষ হয় তার দৌড়।৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন তিন অংক ছোঁয়ার আগেই অলআউট হবার শঙ্কায়, তখন প্রতিরোধ গড়েন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লাহ তার স্বরূপে থাকলেও সাকিব ছিলেন অচেনা। তার ইনিংসটা ছিলো না মোটেও টি-টোয়েন্টি সুলভ।
১৮.৪ ওভারে এসে ৩৪ বল খেলে মাত্র ২৮ রানে আউট হন সাকিব। দলও পিছিয়ে পড়ে এখানেই, শেষ হয় জয়ের সম্ভাবনাও। বৃথা যায় সাতে নামা মাহমুদউল্লাহর ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।এরপর রিশাদ হোসেন ৫ বলে ৫ ও জাকের আলি ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় লক্ষ্য থেকে ৬০ রান দূরে থাকতেই।