নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলমকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৯২ জন সুবিধাভোগীর কার্ড জব্দ করার অভিযোগ উঠেছে। সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলু কার্ডগুলো নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু তাঁরা সরকারের সুবিধা গ্রহণ করেন, সেহেতু তাঁদের নৌকায় ভোট দিতে হবে।’
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনবাগের ৯টি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা, অম্বরনগর, বারগাঁও ও নাটেশ্বর ইউনিয়ন নিয়ে নোয়াখালী-২ আসন গঠিত। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরো সাতজন প্রার্থী।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলু বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৯২ জন সুবিধাভোগীর কার্ড সংগ্রহ করে আমার কাছে রেখেছি।’
কার্ডধারীরা সরকারের দেওয়া ১০ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন। গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে তাঁরা চাল পেয়েছিলেন। আগামী এপ্রিল ও মে মাসে আবারও পাবেন। যেহেতু তাঁরা সরকারের সুবিধা গ্রহণ করেন, সেহেতু তাঁদের নৌকায় ভোট দিতে হবে। নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে আমরা এমপি সাহেবের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
ওয়ার্ডভিত্তিক কার্ডধারীদের সঙ্গেও বৈঠক করব। যাঁরা নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন আমরা তাঁদের কার্ড ফিরিয়ে দেব।’জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নোয়াখালী জেলার রিটার্নিং অফিসার দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, একজন চেয়ারম্যান এভাবে সরকারি সুবিধাভোগী কারো কার্ড জব্দ করতে পারেন না। অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেবেন বলে জানান।